১। আবু সাইয়িদকে রাষ্ট্রের নির্দেশে প্রকাশ্যে গুলি করলেও এক আওয়ামী সাংসদ নেতা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন- আমরা ঐ পুলিশ সদস্যের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেছি, সে আসলে শিবিরের লোক, তার দ্রুত বিচার করা হবে।
২। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যার যে নৃশংস হত্যা ঘটেছে- সেই বর্ননা দিয়ে গিয়ে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে বলেন, প্রথমে হাজারখানিক জনতা থানায় আসে, কিন্তু তারা পরে চলে যায়। এর বেশ কিছুক্ষণ পর ১০০ লোক এসে থানা ঘেরাও করে আক্রমণ করে। তার মানে তার কথায় এটা স্পষ্ট জনতা এ হত্যাকান্ড ঘটায়নি। তবে এটি এক প্রশ্নের উদ্রেক করে, যে একটি থানা আক্রমণ করলে পুলিশের মতো সুসজ্জিত বাহিনীর প্রতিরোধ করার কথা কিন্তু কোথাও কোন গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তাহলে আক্রমণকারীরা পুলিশের পুর্বপরিচিত ছিল কিনা এবং তারা সুকৌশলে পুলিশ বাহীনিকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করেছে কিনা। অনেকেই ধারণা করছেন এটা সরকারের একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিশ্বের দরবারের তার ফ্যাসিজমকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা হিসাবে ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধাতে চাইছেন এবং পুলিশকে বলির পাঠা বানিয়ে নিজেদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে এটাকে মৌলবাদদের আন্দোলন বলে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করে স্বৈরশাসনের নৃশংস থাবা বজায় রাখতে চাইছেন।
৩। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে মন্দিরে মন্দিরে হামলা বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় তার টুইটার একাউণ্টে জঙ্গী হামলা বলে নানা মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় দাঙ্গাকে উসকে দিচ্ছেন।
৪। দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর ফেসবুক স্টেটমেন্ট নিচে পরিচয় গোপন করে তুলে ধরা হলো। প্রথম প্রত্যক্ষদর্শীর পরপর দুটি পোস্ট লক্ষ্যণীয়। প্রথমে সে এ কেমন ছাত্র আন্দোলন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে! রেপ থ্রেট পেয়েছে জানিয়েছে (ছবিটি বড় করে দেখতে ছবির উপর ক্লিক করুন)। পরবর্তীতে দেখা যায় সে পোস্টটা এডিট করে ( দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ক্রিনশটে)। যেখানে সে বলছে – হিন্দু বাড়ি দেখে আক্রমণ হয় নি, বরং হিন্দু দেখে আক্রমণ থামিয়ে চলে গিয়েছে। এবং তারপর একসময় পোস্টটি সে মুছে ফেলে। অর্থাৎ এটি পরিস্কার পোস্টটি মুলত নাশকতার গুজবের অপচেষ্টাতেই করা। যদিও তিনি একটি আক্রমণের ভিডিও এখনও টাইম লাইনে রেখেছেন, কিন্তু কারা করেছেন এই ব্যপারে আর কিছু জানাননি।
অপরদিকে দ্বিতীয় প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে, রংপুরের কালী বাড়ি মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে মন্দিরের গেটের সামনে ২ জন লোক বাঁধা দিলে তাদেরকে এলোপাতাড়ি বাঁশ ও ইট দিয়ে জখম করা হয়। কিন্তু কেউ মন্দিরে প্রবেশ বা হামলা করে নি।
এমন কঠিন সময়ে এ ধরণের পরিকল্পিত গুজব ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের এ ধরণের মন্তব্যে নেটিজেনদের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তবে সবাই আশংকা করছেন জনতার একাত্মতার কাছে সব কৌশলে হেরে সরকার তাসের এই গুটিটাকেই ব্যবহার করবেন। তাই সকলকে বিজ্ঞজনেরা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ও হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইদেরকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইংরেজি ভার্সন দেখতেঃ https://truthcastbd.com/2024/08/04/the-last-trump-card-of-the-despots-survival/